সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কি কি | সাধু রীতি সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর?

সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কি কি | সাধু রীতি সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর?

সাধু ভাষার ব্যাকরণের নিয়ম অনেকটা সুনির্ধারিত এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট অনুকরণে পরিকল্পিত যে নতুন সর্বজনীন গদ্যরীতি বাংলা সাহিত্যে প্রবর্তিত হয়, তাকে সাধু ভাষা বলে।

‘সাধারণত গদ্য সাহিত্যে ব্যবহূত বাঙালা ভাষাকে সাধু ভাষা বলে।’ —ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

সাধু রীতির একটি উদাহরণঃ

‘উপন্যাসের অনুরূপ কোনো বস্তু আমাদের প্রাচীন সাহিত্যে খুঁজিয়া পাওয়া যায় না।’

সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য সমূহঃ

  1. সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণরীতি অনুসরণ করে।
  2. সাধু রীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
  3. এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল।
  4. সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতায় অনুপযোগী অর্থাৎ বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের জন্য সাধু ভাষা উপযোগী নয়।
  5. সাধু রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি অনুসরণ করে।
  6. সাধু ভাষার একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি লেখ্য ভাষা।



  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সাধু ভাষা পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন।
  • সাধু রীতিতে অব্যয় পদটির দীর্ঘ রূপ হয় না ।
  • সাধু ভাষা কত খ্রিস্টাব্দের দিকে জন্ম হয়েছে–১৮০০
  • মধ্য যুগের গদ্যে সাধুরীতির সামান্য নমুনা কোথায় পাওয়া চিঠিপত্রে।

সাধু ভাষার ক্রিয়াপদ সমূহঃ করিতেছি, পড়িতেছি, যাইতেছি, বলিতেছি, দেখিতেছি, খাইয়াছি ইত্যাদি।

সাধু ভাষার সর্বনাম পদ সমূহঃ তাহার, তাঁহারা,উঁহারা, তাহাদের, উহাকে, উহাদের, তাহাকে, উহাকে, ইত্যাদি।

চলিত রীতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নিন?

Related posts

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.